আজ বুধবার থেকে এই নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) ভরিতে এক হাজার ৫১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট দাম বাড়ানো হয়েছিল। বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে (দুবাই) মঙ্গলবার প্রতি গ্রাম সোনার দাম ছিল ৩৯ দশমিক ৭৫ ডলার। এ হিসেবে স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ভরির দাম পড়ে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে) ৩৯ হাজার ৪০৯ টাকা।
ফলে দাম কমার পরও দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি বাজারে ভরিতে পার্থক্য ৯ হাজার ৫৭৯ টাকা। অর্থাৎ সোনার বাজারে বিশৃঙ্খলা চলছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৮৮ টাকা। মঙ্গলবার এর দাম ছিল ৪৭ হাজার ৪৭২ টাকা। এ হিসাবে ভরিতে দাম বেড়েছে এক হাজার ৫১৫ টাকা।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪৫ হাজার ১৯৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬ হাজার ৬৫৬ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে এক হাজার ৪৫৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি ৪০ হাজার ১২৪ টাকা থেকে বেড়ে ৪১ হাজার ৬৪০ টাকায় বিক্রি হবে। ফলে ভরিতে দাম বেড়েছে এক হাজার ৫১৫ টাকা।
তবে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ মানের সোনা প্রতি ভরি আগের মতো ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দামও।
আগের দাম অনুসারে প্রতি ভরি রূপা এক হাজার ৪৯ টাকায় বিক্রি হবে। তবে একজন ক্রেতা কোনো জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে চাইলে তাকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এরপর ভরিতে প্রায় তিন হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হয়।
জানা গেছে, মানভেদে দেশে চার ধরনের সোনা বিক্রি হয়। এর মধ্যে ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে। আর পুরনো স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয় সনাতন পদ্ধতির সোনা।