সর্বনিম্নে চিনির দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৯-০১-০২ ১৩:১৫:৪৩
আন্তর্জাতিক বাজারে আগে থেকেই চিনির দামে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। এর প্রভাব পড়েছে বছর শেষের বেচাকেনায়ও। ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ২০১৮ সালের শেষ বেচাকেনায় পণ্যটির দাম কমে এক দশকের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। মূলত বাড়তি সরবরাহের জের ধরে আইসিইতে চিনির দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও এগ্রিমানি।
আইসিইর প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সবশেষ বেচাকেনায় ভবিষ্যতে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি টন পরিশোধিত চিনির দাম দাঁড়িয়েছে ৩৩২ ডলার ৫০ সেন্টে। অন্যদিকে ভবিষ্যতে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অপরিশোধিত চিনি বিক্রি হয় ১২ দশমিক শূন্য ৩ সেন্টে। এ সময় পরিশোধিত চিনির দাম আগের বছরের একই দিনের তুলনায় ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ ও অপরিশোধিত চিনির দাম ২০ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ২০০৮ সালের পর বছর শেষের বেচাকেনায় এটাই চিনির সর্বনিম্ন দাম।
২০১৮ সালে চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় ব্রাজিলকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভারতে ২ কোটি ২২ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টনে। অর্থাৎ এক বছরেই ভারতে চিনি উৎপাদন রেকর্ড ১ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টন বেড়েছে।
এ সময় ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, থাইল্যান্ডসহ উৎপাদনকারী অন্যান্য দেশে চিনি উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যটির বাজারে। বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। বছরের শেষ দিকে দেশে দেশে নতুন মৌসুমের চিনি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যটির দাম আরো কমে এসেছে।
এ ধারাবাহিকতায় বছরের একেবারে শেষ কার্যদিবসে আইসিইতে পণ্যটির দাম গত এক দশকের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। আগামী দিনগুলোয় বৈশ্বিক চিনির বাজারে দরপতনের লাগাম টেনে ধরা বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।