নতুন বছর শুরু হতে না হতেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে অন্তত দুই টাকা করে বেড়েছে। এছাড়া সুগন্ধি পোলাও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা করে। পাইকারি বাজারে চালের দামবৃদ্ধির এই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। চালের এই দাম বৃদ্ধিকে কৃষকের জন্য ইতিবাচক বলছেন ব্যবসায়ীরা।
মিরপুর পীরেরবাগের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, ভোটের পর হঠাত করেই চালের দাম বেড়েছে। খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট ৫২ টাকা থেকে ৫৪ টাকা, বিআর আটাশ ৪০ টাকা এবং পাইজাম ৩৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীত পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, নির্বাচনের তিন দিন আগে পরিবহন ব্যবস্থায় কড়াকড়ির কথা বলে চাল সরবরাহ বন্ধ রেখেছিলেন মিলাররা। নির্বাচনের পর চাল সরবরাহ শুরু হলেও মিলগুলো থেকেই প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) দুই ধাপে ১০০ টাকা করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
নির্বাচনের পরে মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এই ব্যবসায়ীর দেওয়া তথ্য মতে, গত রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঝারি মানের চালের দাম (পাইজাম, লতা ও বিআর আটাশ) পাইকারিতে ছিল প্রতি বস্তা ১৬৫০ টাকা। এখন এই চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০ টাকা।
একইভাবে সাধারণ মানের মিনিকেট চাল বস্তা প্রতি ২২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের মিনিকেট (রশিদ মিনিকেট) ২৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ২৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সুগন্ধি চাল যেগুলোর বস্তা ৩৮০০ টাকা করে বিক্রি হত, সেগুলো এখন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫০ টাকায়। ভালো মানের সুগন্ধি চাল যেগুলো ৪২০০ টাকায় বস্তা বিক্রি হত, সেগুলো এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৪৩৫০ টাকায়।
বাজারে ধানের দাম বাড়ার কারণে মিল মালিকরা চালের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দাম কম থাকার পর এখন ধানের দাম বাড়ায় কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন। মিনিকেট চালের জন্য বেছে নেওয়া হয় বোরো মওসুমের ধান যেগুলো সাধারণত বৈশাখ মাসে বাজারে আসে।
এর আগে চালের দাম খুব বেশি বেড়েছিল ২০১৭ সালের মধ্যভাগ থেকে কয়েক মাস ধরে। ওই বছর এপ্রিলে আগাম বন্যায় হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। সে সময় সরু চালের দাম খুচরায় কেজি প্রতি ৭০ টাকা পর্যন্ত ওঠে, সমানতালে বাড়ে মোটা চালের দামও। পরে নতুন ধান ওঠায় কমে আসে চালের দাম।