পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২১ সিকিউরিটিজ হাউজ এবং ৭ তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সতর্ক করেছে। অসতর্কতার জন্য সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হওয়ায় তাদের শুধু সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
যেসব সিকিউরিটিজ হাউজকে সতর্ক করা রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- একে খান সিকিউরিটিজ; বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ; বি রিচ লি:; সেঞ্চুরি সিকিউরিটিজ; কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট; ডিএমআর সিকিউরিটিজ; ডায়নামিক সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস; আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ; জয়তুন সিকিউরিটিজ; খুরশিদ সিকিউরিটিজ (নতুন নাম ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ); কে-সিকিউরিটিজ এন্ড কনসালটেন্টস; লতিফ সিকিউরিটিজ; মিকা সিকিউরিটিজ; মাল্টি সিকিউরিটিজ এন্ড সার্ভিস; প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ; র্যাপিড সিকিউরিটিজ; রোজ সিকিউরিটিজ; শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ; শার্প সিকিউরিটিজ; শেলটেক ব্রোকারেজ এবং সিনহা সিকিউরিটিজ।
সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় গত ডিসেম্বর মাসে এসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে বিএসইসি। কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ এবং জয়তুন সিকিউরিটিজকে ডিসেম্বর মাসে দুইবার সতর্ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিশন জানায়, অভিযুক্তরা যথাযথ কারণ দেখিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের আইন লঙ্ঘন যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আর কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলিফ ম্যানুফেকচারিং; আনোয়ার গ্যালভানাইজিং; বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি; ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং; মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স; রহিমা ফুড এবং সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ।
এদিকে আইন লঙ্ঘনের দায় আলী সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং সেন্ট্রাল ফার্মার প্রত্যেক পরিচালককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ৩০ জুন, ২০১৭ এর আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি থাকায় সেন্ট্রাল ফার্মার পরিচালকদের জরিমানা করা হয়েছে। আর এই অসঙ্গতি সমাধান না করা পর্যন্ত প্রত্যেকদিন এই পরিচালকদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
সান বিডি/এসকেএস