ভারত থেকে বাংবালাদেশে প্রবেশ দ্বারে ফারাক্কা ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছে। আর তাই ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে করে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আসতে পারছে না পাথরবোঝাই ট্রাক। যার ফলে পাথর আমদানি প্রায় ৯০ শতাংশ কমে গেছে।এ অবস্থা আরো এক দের মাস চলবে।
এদিকে পাথর আমদানি কমে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আহরণ বন্ধ হয়ে আছে। যার ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা দেখা দিতে পারে। শুধু কেবল তাই নয় দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে বাস্তবায়নে রয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পাথরের বড় একটি অংশ। আর তাই আমদানি কমে যাওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া পাথরের টনপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা দাম বেড়েছে।
এই নিয়ে হিলি স্থলবন্দরের কর্মকর্তরা জানান, প্রতি বছর বন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলে আমরা আশঙ্কা করছি। বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। এবং পাথর আমদানি কমে যাওয়ায় সরকার প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে পুরো অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।