এবছরের প্রথম থেকেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৯ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদান করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু এই নির্দেশ অমান্য করে এখনও ৩৭টি ব্যাংক চড়া সুদ তুলছে। এতে করে সুদহার কমানোর নামে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ শতাংশের উপরে সুদহার রেখেছে ২৮টি ব্যাংক। আর ৯ শতাংশের উপরের সুদহার এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১২টি।
তথ্য মতে, বেসরকারি খাতের সীমান্ত ব্যাংক ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং এনসিসি ব্যাংক ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এবি ব্যাংক ঋণ বিতরণ করছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে, দি সিটি ব্যাংক ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ, আইসিবি ব্যাংক ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ, হারে সুদ নিচ্ছে এখন।
ওয়ান ব্যাংক ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের সুদহার ১১ দশমিক ৫১, ব্যাংক এশিয়া ১০ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের ১০ দশমিক ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ,ঢাকা ব্যাংকের ঋণের সুদহার ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ১০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সুদহার ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংক ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মধুমতি ব্যাংক ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের বিতরণ ঋণের সুদহার ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, মেঘনা ব্যংক ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১২ দশমিক ১ শতাংশ, ফারমার্স ব্যাংক ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংক ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ,
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে অর্থমন্ত্রী, গভর্নর ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশ (এবিবি) এর এক আলোচনা সভায় কমানো হয় নগদ জমা সংরক্ষণের (সিআরআর) হার। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত বেসরকারি ব্যাংকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। এতে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ব্যাংকাররা।