বাংলাদেশ সয়াবিন আমদানিতে একধাপ পিছিয়েছে
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০১-০৯ ১৩:১৭:০২
দেশে জনপ্রিয় ভোজ্যতেলগুলোর মধ্যে অন্যতম সয়াবিন। চলতি শতকের শুরু থেকে অধিকাংশ বছরই দেশে সয়াবিন তেলের ব্যবহার বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে চাঙ্গাভাবের পাশাপাশি দেশে সয়াবিন তেলের উৎপাদনও বেড়েছে। তবে উৎপাদন বৃদ্ধির এ হার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে প্রতি বছর দেশের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হয়। প্রতি বছরই ভোজ্যতেলটির আমদানি বাড়ছে। এর পরও সয়াবিন তেল আমদানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় চীনের কাছে অবস্থান হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ এ তালিকায় এক ধাপ কমে তৃতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ সয়াবিন তেলের অষ্টম শীর্ষ ভোক্তা দেশ। ২০০৯ সালের পর থেকে দেশে ভোজ্যতেলটির অভ্যন্তরীণ চাহিদায় ধারাবাহিক চাঙ্গাভাব বজায় রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে দেশে সয়াবিন তেলের চাহিদা দাঁড়িয়েছিল ১০ লাখ ৫ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেশি। দেশের ইতিহাসে এটাই সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ চাহিদা। ২০১৭ সালে দেশে ভোজ্যতেলটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৯০ হাজার টনে। তবে সদ্যবিদায়ী ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের চাহিদা ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ হাজার টন বেশি।
বছরের ব্যবধানে ভোজ্যতেলটির আমদানিকারকদের তালিকায় বাংলাদেশ নিজের অবস্থান এক ধাপ হারিয়েছে। ২০১৮ সালে চীন দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসায় বাংলাদেশ সয়াবিন তেল আমদানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। আর গত বছর ৩৪ লাখ টন সয়াবিন তেল আমদানির মধ্য দিয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারত। ২০১৭ সালে চীন ৫ লাখ ৪৬ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি করলেও গত বছর দেশটিতে ভোজ্যতেলটির আমদানির পরিমাণ ৪৬ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে ৮ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে, ২০১৮ সালে চীন বাংলাদেশের তুলনায় ২০ হাজার টন অতিরিক্ত সয়াবিন তেল আমদানি করেছে। চলতি বছর শেষে চীনের সয়াবিন তেল আমদানি বাড়লেও বাংলাদেশে সামান্য কমে আসতে পারে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।