গত পাঁচ মাসে কৃষিঋণ কমেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০১-০৯ ১৫:৩৩:২৬
ব্যাংকগুলোর অনীহার কারণে কমছে কৃষিঋণ বিতরণ। অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় কৃষি খাতে সরকার ব্যাপক জোর দিলেও কৃষকরা ঋণ চেয়ে ঋণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঋণের সুদহারও অনেক বেশি নেয়ার অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নবেম্বর) কৃষি খাতে মাত্র ৭ হাজার ৪৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৭৫৫ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ কম। গতবছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ হাজার ২৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য ছোট ঋণে তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় বেশি হওয়ার কথা বলে ব্যাংকগুলো সাধারণত ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সুদ নেয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাধ্যবাধকতার কারণে কৃষি ঋণে ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারে না। আর যেসব ব্যাংক এনজি’ও মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে সেক্ষেত্রে ঋণের সুদহার অনেক বেশি। যে কারণে সব সময়ই এ খাতে ঋণ বিতরণে অনীহা দেখায় অনেক ব্যাংক। বেসরকারী ব্যাংকের মোট ঋণের অন্তত ২ শতাংশ কৃষিতে বিতরণ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোন ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলে অনর্জিত অংশের পুরোটাই বিনা সুদে এক বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখতে হতো। তবে গত অর্থবছর এ বিধানে শিথিলতা এনে অনর্জিত অংশের ৩ শতাংশ বিনা সুদে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখার কথা বলা হয়েছে। এরপর থেকে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ কমিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমলেও আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ৮ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত নবেম্বর শেষে কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি খাতে মোট ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের এ লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি