আমদানি ব্যয় পরিশোধে ব্যর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিলের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অনুমোদিত সব ডিলার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক কালে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে অনুমোদিত ডিলার শাখা আমদানি বিল মূল্য স্বীকৃতি প্রদানের পরও যথাসময়ে পরিশোধ করছে না, যা অনভিপ্রেত। এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ্য মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিল মূল্য অপরিশোধিত থাকলে সে বিষয়ের তথ্য ১৩ জানুয়ারির মধ্যে হার্ডকপি ও সফট কপি বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির সঙ্গে তথ্য পাঠানোর জন্য একটি ছক তৈরি করে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিগত বছর রফতানি ও রেমিটেন্স থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় অনেক বেশি ছিল। যার কারণে চাহিদার তুলনায় জোগান না থাকায় দেশের বাজারে ডলারের তীব্র সঙ্কট ছিল বছরজুড়েই। এতে আমদানি দায় পরিশোধে হিমশিম খেতে হয়েছে অনেক ব্যাংকের। তারা আরও জানান, এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তারপরও অনেক ব্যাংক যথাসময়ে আমদানি দায় পরিশোধ করতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, দূতাবাস, বিদেশী বিভিন্ন চেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার অভিযোগ করছে বিশ্বের বৃহৎ ব্যাংকগুলো। এ কারণেই মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিলের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।