ভিয়েতনাম রোবাস্তা কফির শীর্ষ উৎপাদক। দেশটিতে ১ অক্টোবর থেকে কফি উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। এর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চলতি মৌসুমে দেশটিতে তিন কোটি ব্যাগ কফি উৎপাদনের প্রাক্কলন করেছিলেন। চলতি (২০১৮-১৯) মৌসুমে ভিয়েতনামে কফি উৎপাদনের প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
তাদের মতে, এ সময় দেশটিতে ২ কোটি ৭০ লাখ ব্যাগ (এক ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি উৎপাদন হতে পারে, যা আগের প্রাক্কলনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। স্থানীয় বাজারে কফির দাম কম থাকায় গাছ পরিচর্যায় কৃষকদের অনাগ্রহ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কফি উৎপাদনের প্রাক্কলন কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দাক লাক প্রদেশের এক ব্যবসায়ী বলেন, উৎপাদন কমে আসা নিয়ে আমরা বিস্মিত নই। কারণ স্থানীয় বাজারে কফির মূল্য কম থাকায় অনেক কৃষক তাদের গাছে সার ও সেচ দিতে আগ্রহী নয়। একই সঙ্গে আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল না। তবে সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডসের কৃষকরা এরই মধ্যে সব তরতাজা কফিবীজ সংগ্রহ শেষ করেছেন।
সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস ভিয়েতনামের প্রধান কফি উৎপাদন অঞ্চল। এ অঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি কফি ৩৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩৪ হাজার ডংয়ে (১ দশমিক ৪৪ থেকে ১ দশমিক ৪৭ ডলার) বিক্রি হয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কফি ৩৩ হাজার ২০০ থেকে ৩৩ হাজার ৭০০ ডংয়ে বিক্রি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী বলেন, উৎপাদন কম হলেও বিদেশী সংস্থার বৃহত্তর পূর্বাভাসের কারণে স্থানীয় বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।