সবচেয়ে বড় ফিশিং ট্রলার নির্মাণ করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন

পুঁজিবাজার ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০১-১৪ ১৪:১৭:০২


দেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপইয়ার্ড লিঃ চট্রগ্রামের প্যাসিফিক ঈগল লিঃ এর নিকট থেকে ১টি ৪৭ মিটার দীর্ঘ ফিশিং ট্রলার নির্মানের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং এটিই হবে বাংলাদেশের জন্য নির্মিত সবচেয়ে বড় ফিশিং ট্রলার।

প্যাসিফিক ঈগল লিঃ হচ্ছে চট্রগ্রামের স্বনামধন্য জে কে গ্রুপের একটি অংঙ্গ সংগঠন। ১১ জানুয়ারী ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিঃ এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এবং প্যাসিফিক ঈগল লিঃ পক্ষে চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেন।

উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন এই জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার, প্রস্থ ১১.০০ মিটার, ধারণ ক্ষমতা ৩৫০মে.টন এবং জাহাজ টি হ্যাজার্ড এনালাইসিসড্ এন্ড ক্রিটিকাল কন্টোল পয়েন্ট (এইচ.এ.সি.সি.পি.) সমদ্ধ নির্মিত হবে, দেশ থেকে যদি কোন মাছ রপ্তানী করতে হয় তাহলে ফিশিং ট্রালারে এ সিষ্টেম অবশ্যই থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ওয়েস্টার্ণ মেরিন গ্রুপ এ পর্যন্ত মোট ১৩ টি ফিশিং ট্রলার নির্মান করেন যার মধ্যে ৪টি জে কে গ্রুপের জন্য নির্মান করা হয় এবং এই জাহাজগুলোর গুনগত মান নিয়ে তারা অত্যান্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন  এবং এরই ধারাবাহিকতায় এই জাহাজটির কার্যাদেশ প্রদান করেন । এবং এই ১৩টি জাহাজ নির্মানের ফলশ্রুতিতে ওয়েস্টার্ণ মেরিন নরওয়ের জন্য ১ টি ৮০মি. দৈর্ঘ্য ইাই টেক ফিশিং ট্রলার নির্মানের কার্যাদেশ পায় যা এখন নির্মানাধীন রয়েছে, এটিই হবে নরওয়ের সর্ববৃহৎ ফিশিং ট্রলার এবং বাংলাদেেেদশে নির্মিত প্রথম হাইটেক প্রযুক্তির ফিশিং ভেসেল যা বিদেশের জন্য রপ্তানী হবে।

ওয়েষ্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই জাহাজটি হবে বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম এইচ.এ.সি.সি.পি. সম্বলিত জাহাজ যা বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র সীমায় ব্লু ইকোনোমি আঞ্চলে নিরাপদে অধিক পরিমানে মাছ ধরতে সক্ষম হবে। আমাদের এই সুবিশাল ব্ল ইকোনোমি অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে মাছ রয়েছে যা সমুদ্রের অনেক গভিরে বাস করে, এই সমস্ত মাছ ধরার জন্য আমাদের দেশে অনেক হাই-টেক ফিশিং ট্রলার প্রয়োজন যা সমুদ্রের গভীর থেকে মাছ আহরন করে আমাদের দেশের অর্থনিতীতে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে এবং  নরওয়ের জাতীয় অর্থনিতিতে যেভাবে তাদের মৎস্য শিল্প বিশাল অবদান রাখছে আমাদের দেশে ও সেই রকম অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আর ও উল্লেখ করেন, ২০২১সালের মধ্যে আমাদের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করার জন্য ও ২০৩০সালের মধ্যে স্থায়ী উন্নয়ন বৃদ্ধির লক্ষে আমাদের প্রচুর পরিমান জাহাজ প্রয়োজন হবে যেমন ড্রেজার, টাগবোট, যাত্রীবাহী জাহাজ এবং ব্রীজ নির্মান, ড্রেজিং ও মাচ ওয়াটার ট্রান্সপোটের্র জন্য ভারী ইস্পাত কাঠামো প্রয়োজন হবে। এবং এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ব্যাংক থেকে প্রকল্পের জন্য চলতি মূলধনের (ওয়ার্কিং কেপিটাল) জন্য সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

ওয়েষ্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এর চেয়ারম্যান মোঃ সায়ফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জাহাজ নির্মানশিল্প ক্রমবর্ধমান হচ্ছে এবং এটা প্রমানীত যে, আমরা আমাদের দেশের ব্যবহারের জন্য সবধরনের জাহাজ নির্মান করতে স্বক্ষম। তিনি এ শিল্পের ক্রমবিকাসের জন্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ইউরোজোন ক্রাইসিস এর কারনে এ শিল্প যে ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে সে দিকে লক্ষ রাখা এবং ইউরোপের মত কম সুদে দীর্ঘ মেয়াদি তহবীল গঠন করা যা কিনা অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে ।

সান বিডি/এসকেএস