চিনি উৎপাদন নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে দেশটিতে আগের তুলনায় বেড়ে সব মিলিয়ে ২১ লাখ ৭০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। প্রবৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা চলতি বছরও বজায় থাকতে পারে। ২০১৯ সাল শেষে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে চিনি উৎপাদন বাড়তে পারে ২ লাখ ৮০ হাজার টন। মূলত নতুন কয়েকটি চিনিকলের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় চলতি বছর শেষে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ২০১৯ সালে কয়েকটি নতুন চিনিকল চালু হওয়ায় দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে। বছর শেষে ইন্দোনেশিয়া সরকার চিনি উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বা পৌনে তিন লাখ টন বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ফলে উৎপাদন বেড়ে দেশটিতে চিনি আমদানি আগের তুলনায় কমে যেতে পারে। বিশ্বের শীর্ষ চিনি আমদানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া আমদানি কমালে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম নতুন করে কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সব মিলিয়ে ২১ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় চলতি বছর শেষে বিশ্বের ১৭তম শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ২২ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অব প্ল্যান্টেশন বামবাং বলেন, ‘চলতি বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত চিনি মজুদ আছে। এ কারণে অতিরিক্ত চিনি আমদানির প্রয়োজন হবে না। ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার আমদানিকারকদের জন্য সর্বোচ্চ ২৮ লাখ ৩০ হাজার টন চিনি আমদানির কোটা বেঁধে দেয়া হয়েছে।’