রাজধানীর বেশ কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, যেখানে মিনিকেটের দাম বেড়েছিল সর্বোচ্চ ৫ টাকা, ফলে তা কমেছে ৩ টাকা। সরকারি নানা উদ্যোগের পরে ৫২ টাকা কেজিতে বাজারে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মিনিকেটের দাম কিছুটা কমলেও আটাশ ও নাজিরের দাম রয়েছে আগের মতোই। যেখানে আটাশের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছিল, উদ্যোগের ফলেও এর দাম কমেনি বিন্দুমাত্র। এদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কাওরান বাজারের খুচরা দোকানী ‘মা বাবার দোয়া স্টোরে’র মালিক আবু বকর বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মিনিকেটের দাম ছিল ৫০ টাকা। পরে দাম বেড়ে ৫৫ টাকায় উঠেছিল। এখন কমে ৫২ টাকায় নেমেছে। আটাশ চালের দাম নির্বাচনের আগে ৩৮ টাকা ছিল, বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকায়, আগের চেয়ে দাম কমেনি। নাজির ৫৬ টাকা ছিল, এখনও আগের মতোই আছে।’
এদিকে, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১০ জানুয়ারি চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই বৈঠকে উভয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার দাবি, আপনারা আমাদের ইজ্জত রাখবেন। চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে আপনারা আমাদের সব রকমের সহযোগিতা করবেন।’ তবে ওই বৈঠক ও আহ্বানের পরও বাজারে চালের দাম খুব একটা কমেনি।