বিশ্বের শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে অন্যতম ভারত। খাদ্যপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় দেশটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চালের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৩৭৯-৩৮৪ ডলারে। আগের সপ্তাহেও ভারতে প্রতি টন চালের রফতানি মূল্য ছিল ৩৮২-৩৮৭ ডলার। সেই হিসাবে, এক সপ্তাহেই ভারতের বাজারে প্রতি টন চালের রফতানি মূল্য কমেছে টনপ্রতি ৩ ডলার।
কিন্তু এবারের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাংলাদেশে ধান-চালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের বাজারে খাদ্যপণ্যটির আমদানিও আগের তুলনায় কমতির দিকে রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারে। কেননা ভারতীয় চালের বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। রফতানি চাহিদা কমে যাওয়ায় চাল রফতানি নিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করেছেন তারা। এ পরিস্থিতি ভারতের বাজারে ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম কমিয়ে দিয়েছে।
২০১৭ সালে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ২২ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে দেশটি খাদ্যপণ্যটির রফতানি সাকল্যে ৩ লাখ টন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ সাল শেষে দেশটি থেকে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বিদায়ী বছরে ভারত থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি প্রবৃদ্ধির গতি তুলনামূলক শ্লথ ছিল।