বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দেশের বাগানগুলোয় ভালো মানের চা উৎপাদন কমে গেছে। ফলে আন্তর্জাতিক নিলামে ভালো মানের চায়ের সরবরাহ কম থাকার কারণে পানীয় পণ্যটির দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করেছে। এক মাসেই চট্টগ্রামের নিলাম ঘরে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম ২৫ টাকা কমেছে।
চলতি মৌসুমের সর্বশেষ তিনটি নিলাম প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মৌসুমের ৩৫তম আন্তর্জাতিক নিলামে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম দাঁড়িয়েছিল ২২৫ টাকা। পরবর্তী সময়ে মৌসুমের ৩৬তম আন্তর্জাতিক নিলামে পানীয় পণ্যটির গড় দাম দাঁড়ায় কেজিপ্রতি ২০৪ টাকায়। অর্থাৎ আগের নিলামের তুলনায় চায়ের গড় দাম কমেছে কেজিতে ২১ টাকা। ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে মৌসুমের ৩৭তম আন্তর্জাতিক নিলাম। এ নিলামে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম আরো কমে ২০০ টাকায় স্থির হয়েছে, যা আগের নিলামের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪ টাকা কম। সেই হিসাবে, সর্বশেষ তিনটি নিলামে পানীয় পণ্যটির গড় দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা। বিদায়ী বছরের শেষভাগ থেকে নিলামে তুলনামূলক ভালো মানের চা সরবরাহ কমে যাওয়ায় পানীয় পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বাগানগুলোয় সবচেয়ে ভালো মানের চা উৎপাদন হয়। বছরের ওই সময়ে নিলামে পানীয় পণ্যটির সরবরাহও বেশি থাকে। ২০১৮ সালের জুনে দেশের ১৬২টি বাগান থেকে নিলামে সব মিলিয়ে ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চা সরবরাহ হয়েছিল। পরের মাসে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার কেজিতে। গত আগস্টে চট্টগ্রামের নিলাম ঘরে সবচেয়ে বেশি চা সরবরাহ হয়েছিল। এ সময় সরবরাহ করা চায়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৭৭ হাজার কেজিতে।