ফের সিলেট সীমান্তে কয়লা আমদানি বন্ধ, বেকার হাজার শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৯-০১-২২ ১১:০০:৫৫


সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দেশের বাজারে কয়লা আমদানি আবার বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন সীমান্তে কয়লা বোঝাইয়ের কাজে নিয়োজিত প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক।কর্র্তপক্ষ জানিয়েছে ভারতীয় আদালতের নির্দেশনায় জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে।

এর আগে ভারতীয় আদালতে নির্দেশে দেশের বাজারে কয়লা আমদানিতে অচলাবস্থা ছিল দীর্ঘদিন।গত ডিসেম্বরে নতুন করে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়।তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই সিলেটের চারটি সীমান্তপথে ভারত থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এবারো কারণ হিসেবে সামনে এসেছে ভারতীয় আদালত।নির্ধারিত সময়ের আগে কয়লার আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশীয় আমদানিকারকরা।

নিজস্ব খনি থেকে উত্তোলনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আমদানি করা কয়লা দিয়ে পূরণ করা হয়। আমদানি করা এসব কয়লার ৭০ শতাংশ জোগান দেয় ভারত। দেশটির মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা সিলেট সীমান্ত দিয়ে দেশে আমদানি করা হয়। সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের তামাবিল, বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী— এ চার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হয়ে থাকে।

স্থানীয় আমদানিকারকরা জানান, ভারত থেকে কয়লা আমদানি নতুন করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। সিলেটের একটি স্থলবন্দর ও তিনটি শুল্কস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হতো। প্রতি টন কয়লা আমদানিতে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয় হতো প্রায় ১ হাজার ৬০০ টাকা। সেই হিসাবে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকার প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।