চলতি দশকের শুরু থেকে শুধু চাল রফতানি বাড়ায়নি ভারত, বরং দেশটির চাল রফতানি খাতের পুরো চিত্রপট পাল্টে গেছে। বিগত দশকে বাসমতি চাল রফতানিতে গুরুত্ব দিয়ে এসেছিল ভারত। বিজনেস লাইনের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ মৌসুমে ভারত থেকে ২০ লাখ টনের বেশি বাসমতি চাল রফতানি হয়েছিল। এর বিপরীতে বাসমতি বাদে অন্যান্য জাতের চাল রফতানি হয়েছিল সাকল্যে দু-চার লাখ টন। ২০১১ সালে ভারত সরকার বাসমতি বাদে অন্যান্য জাতের চাল রফতানিতে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এর জের ধরে ২০১১-১২ মৌসুমেই ভারত থেকে বাসমতি বাদে অন্যান্য জাতের চাল রফতানি ৪০ লাখ টন ছাড়িয়ে যায়। এ মৌসুমে ভারতীয় রফতানিকারকরা ৩৫ লাখ টন বাসমতি চাল রফতানি করেছিলেন। ছয় বছরের ব্যবধানে ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটি থেকে ৮৫ লাখ টনের কাছাকাছি বাসমতি বাদে অন্যান্য জাতের চাল রফতানি হয়েছে। এ সময় দেশটি থেকে প্রায় ৪০ লাখ টন বাসমতি চাল রফতানি হয়েছে। মূলত বাসমতি বাদে অন্যান্য জাতের চালের ওপর ভর করেই খাদ্যপণ্যটির বৈশ্বিক রফতানি বাজারে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ভারত। একই সঙ্গে চলতি দশকে চাল রফতানি বাবদ দেশটির আয়ও কয়েক গুণ বেড়েছে।