দেশজুড়ে এখন টক-মিস্টি, দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হয়ে থাকে। শীতের বরই খেতে দারুণ সুস্বাদু। এ বরই চাষ করে এক মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন রাজবাড়ীর আব্দুর রহমান মোল্লা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের উদয়পুর এলাকার আব্দুর রহমান মোল্লা ২২ শতাংশ জমিতে শুরু করেন বরই চাষ। প্রথম বছর তিনি আয় করেন ১ লাখ টাকা। এরপর থেকে বাড়াতে থাকেন বরই চাষ। বর্তমানে ১৪ বিঘা জমিতে চাষ করছেন। এতে খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বরইয়ের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি আব্দুর রহমান। এ বছর যে ফলন হয়েছে তাতে ১৪-১৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদী।
চলতি বছর তিনি বিভিন্ন প্রজাতি ভারতীয়, কাশ্মিরি, নারিকেল, আপেল, বাউ ও থাই কুলের চাষ করেছেন। বরই পাকা শুরু করলে বাগান থেকেই পাইকারি দরে মন হিসেবে ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করেন। যা জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে। তার দেখাদেখি এ অঞ্চলের অনেকে এখন বরই চাষ শুরু করেছেন। এ অঞ্চলে এখন ১০০ বিঘার উপর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে।
কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই তিনি বরই চাষ করছেন।
আব্দুর রহমান মোল্লা জানান, ২০০৬ সালে ২২ শতাংশ জমিতে বরই চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই লাভ হয় ১ লাখ টাকা। পরে তিনি প্রতিবছর চাষ বাড়াতে থাকেন এবং লাভবান হন। এ বছর ১৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। ফলন অনুযায়ী বিক্রি করবেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বাগান পরিচর্যার জন্য মোট ৯ জন কাজ করেন। এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাবেন। আগামীতে তিনি আরো বরইয়ের চাষ করবেন। তবে বরই চাষ করতে কম সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।