ড্রামে তেল বিক্রি করতে চায় না ভোজ্য তেল সয়াবিনের রিফাইনারি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো । একই ড্রাম বারবার ব্যবহারের ফলে ড্রামগুলো অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে এবং উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা ও ভিটামিন এ ফর্টিফিকেশন না করার দোষ বারবার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়ে।
প্যাকেটজাত বা বোতলজাত তেল নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত বলে তারা ড্রামে তেল বিক্রি থেকে সরে আসতে চায়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে সয়াবিন তেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রতিষ্ঠানগুলো এ দাবি তোলেন। অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শেখ আব্দুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও উল্লিখিত অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
ট্যারিফ কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিষ্ঠানের সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন মনিটরিং সেলের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন ট্যারিফ কমিশনের সহকারী প্রধান ও মনিটরিং সেলের সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান।
এ সময় ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে যারা ড্রামে তেল নিচ্ছে তাদের ড্রামগুলো বারবার ব্যবহার করার কারণে অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে। আবার এই ড্রামের তেলে কোনো সমস্যা হলে, ভিটামিন এ না মেশালে সেটারও দায় পড়ছে আমাদের ওপর। যদিও বিক্রির পর এ দায়গুলো যারা কিনছে তাদের। দুই টাকা সাশ্রয়ের জন্য অস্বাস্থ্যকর তেল বাজারে যাক এটা আমরা চাই না। সরকারের কাছে এই ড্রাম সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ডিলাররা কম্পানির ডিও নিয়ে বসে থাকে। দুই মাস, ছয় মাস বা এক বছর পরও তাদের পণ্য নিতে আসে। বিক্রীত এ পণ্যগুলো দিনের পর দিন আমাদের গুদামে থাকে কোনো চার্জ করা হয় না। কোনো পণ্যে পাঁচ টাকা লাভ হলে সেখানে আগ্রহ থাকে কম। যদি ১০০ টাকার পণ্যে ৫০ টাকা লাভ থাকে তবে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে তো গ্রাহকরা ঠকে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন তিনি।