শীত মৌসুম শুরুর পর বাজারে শাক-সবজির দাম চড়া থাকলেও এখন তা স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।ক্রেতারা জানিয়েছেন, সবজির দাম তাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। শীতের শেষ মুহূর্তে বাজারে প্রচুর সবজির সরবরাহ রয়েছে। ভরা মৌসুমে শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে ফুলকপি ১৫ টাকা, বাধাকপি ২০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা, দেশি শিম ১৫-২০ টাকা, টমেটো লাল ২০-২৫ টাকা, মুলা ১০-১৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৩০-৩৫ টাকা, বেগুন ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালংশাক প্রতি আটি ৮-১০ টাকা, লাল শাক পাঁচ টাকা, লাউ শাক ৮ টাকা, দেশি রসুন- ৬০ ইন্ডিয়ান- ৮০ টাকা, মোটর শুঁটি -৪০ টাকা, শালগম,২০ টাকা, গাজর-২০ টাকা, শসা- ৪০ টাকা, নতুন আলু-১৫-২০ টাকা, লাউ ২৫-৩০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল ১৫-২০ টাকা, কাঁচা পেঁপে-১৫ টাকা, কাচ কলা- ১৫-২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলুর সরবরাহও বেড়েছে। এ মাসের শুরুর দিকে আলু প্রতিকেজি ছিল ২২-২৫ টাকায়। বিভিন্ন বাজারে আলু ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা জানান‘বর্তমানে বাজারে পানির দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর সবজির সরবরাহ রয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কিছুটা সবজির দাম কমেছে উল্লখ করে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে চেয়ে কাঁচা মালে পাল্লা প্রতি ৫ টাকা কমেছে। সপ্তাহের মধ্যে আরও দাম কমতে পারে। পাইকারদের সবজি ভর্তি ট্রাক এখনো আড়তের সামনে আছে। বাজারে সবজির কোনও ঘাটতি নেই।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘বসুন্ধরায় বাজার করতে গেলে ৪০ টাকার সবজির দাম ১০০ টাকা গুনতে হয়। কিন্তু কারওয়ান বাজারের সেই তুলনা কাঁচা সবজি সহ সবকিছুর দামই নাগালে। মৌসুমি সবজির ক্ষেত্রে দাম উঠা-নামা খুব একটা বেশি হয় না।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের জন্য দামের বিষয়টা খুবই সামান্য পাচ্ছে। এখন যে সবজিগুলো পাওয়া যাচ্ছে, আমরা ক্রয় করি কেজি প্রতি ১০ টাকা করে হলে কৃষকরা পায় দুই টাকা। সেই তুলনায় সবজির দাম কিছুই না?