থাইল্যান্ড থেকে ৮ লাখ টন চাল রফতানি কমতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৯-০২-০৫ ১১:৪৩:৩২
থাইল্যান্ডে চাল উৎপাদন প্রতি বছরই বাড়ছে। এর বিপরীতে দেশটি খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাড়াতে পারছে না। দুই বছর ধরে থাই চাল রফতানি খাতে বজায় রয়েছে মন্দাভাব। চলতি বছর শেষে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আরো ১৪ শতাংশ কমে এক কোটি টনের নিচে নেমে আসতে পারে। থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স ও এগ্রিমানি।
চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় থাইল্যান্ডের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল রফতানি হয়। খাদ্যপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় দেশটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটির চাল রফতানিকারকদের সংগঠনের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯ সাল শেষে থাইল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৯৫ লাখ টন চাল রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য জানাচ্ছে, ২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ১৬ লাখ ১৫ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল। পরের বছর দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ৭ লাখ টনে। ২০১৮ সালে থাইল্যান্ড থেকে ১ কোটি ৩ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। সে হিসাবে চলতি বছর শেষে দেশটি থেকে আগের বছরের তুলনায় আট লাখ টন কম চাল রফতানি হতে পারে।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডে ১ কোটি ৯২ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। পরের বছর দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টনে। আর বিদায়ী বছরে থাইল্যান্ডে ২ কোটি ৭ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।