হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানববন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আর এই টানেলের সঙ্গে সংযোগ থাকবে হাজি ক্যাম্পের।
আজ রবিবার নগর ভবনে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, “বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত টানেল নির্মাণ হলে যাত্রীরা এই টানেল ব্যবহার করে বিমানবন্দরে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবেন। হাজি ক্যাম্পের সঙ্গে এই টানেলের একটি লিংকও থাকবে।” এই টানেল নির্মাণে অর্থায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিমানবন্দরের সঙ্গে রেলস্টেশনের সরাসরি যাতায়াতের পথ থাকলেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরে সেই সুবিধা নেই।ডিটিসিএ বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত শান্তিনগর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই ফ্লাইওভার নির্মাণে ডিটিসিএর কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এলাইনমেন্টগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে এই ফ্লাইওভার শেষ হবে। মন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার।”
বতর্মানে দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার হচ্ছে ঢাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার। ১১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর শান্তিনগর-কেরানীগঞ্জ ১৩ কিলোমিটার ফ্লাইওভার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬)‘ফিজিক্যাল ওয়ার্ক’ শুরু হচ্ছে জানিয়ে কাদের বলেন, আরো দুটি মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই আগামী ডিসেম্বরে শুরু হবে।
২৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-১ এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর এবং ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-৫ গাবতলী থেকে ভাটারা পর্যন্ত যাবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ