এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন পেয়েছেন রাজবাড়ীর কৃষকরা। ফলনের পাশাপাশ দামও পেয়েছেন পর্যাপ্ত। অন্যান্য বছরের তুলনায় শীতকালীন এই সবজির আবাদও বেড়েছে এই জেলায় ।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেল বছর রাজবাড়ীতে আটশ’ ২৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছিল। এবার আবাদ হয়েছে আটশ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরে তিনশ’ ৭৫, গোয়ালন্দ উপজেলায় তিনশ’, পাংশায় ৮৫, কালুখালীতে ৩৮ ও বালিয়াকান্দিতে ৩৭ হেক্টর জমিতে টমটোর চাষ হয়েছে।
এ বছর জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নিচু জায়গাগুলোর বেশিরভাগ অংশ জুড়েই টমেটোর চাষ হয়েছে। টমেটোর পাশাপাশি স্থানীয় চাষিরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, শসা, মূলা, পালং শাকসহ নানা ধরনের সবজিও চাষ করেছেন।
তীব্র নদী ভাঙনের জন্য তাদের এখানে ধান ও গমের বেশি চাষ হয় না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাই তারা শীতকালীন ফসল ফলিয়ে বন্যার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেন। প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতে তাদের খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলন পাচ্ছেন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মণ। যা বাজারে পাইকারি দরে নয়শ’ থেকে এক হাজার টাকা মণ প্রতি বিক্রি করছেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে দিন দিন টমেটোর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর আটশ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। বেশির ভাগ চাষিই হাইব্রিড জাতের টমেটোর চাষ করছেন।