৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন করবে পাওয়ার গ্রিড

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০২-০৭ ২২:৫৬:০৩


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কক্সবাজারের মাতারবাড়ি থেকে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট পর্যন্ত ৪০০ কেভি লাইন নির্মাণ করবে। এই জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেইসি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে  দ্বিপাক্ষিক এই চুক্তি সই হয়। পিজিসিবি’র কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন ও কেইসি’র কান্ট্রি হেড ও মহাব্যবস্থাপক কুলদ্বীপ কুমার সিনহা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

পিজিসিবি জানিয়েছে, এই লাইনটি হবে  দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭৯৫ কোটি টাকা। লাইনটি দিয়ে মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে।  এ লাইনটি চালু হলে মাতারবাড়ি থেকে মদুনাঘাট হয়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সহজ হবে।

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, এর জন্য সময় লাগতে পারে প্রায় আড়াই বছর। এই সময়ের মধ্যে টার্নকি পদ্ধতিতে কাজটি শেষ করে পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করবে কেইসি। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি সম্মিলিতভাবে এ কাজে অর্থায়ন করছে। উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পেয়েছে কেইসি।

মাতারাবাড়ি-মদুনাঘাট লাইনটি চালু হলে মদুনাঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ লাইনের মাধ্যমে মাতারবাড়ি থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত ৪০০ কেভি ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে। এতে সিস্টেম লস কমবে এবং কারিগরি জটিলতার আশঙ্কাও অনেকাংশে কমবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

তারা জানান, মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ভবিষ্যতে যেন বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যায়, সেজন্য মাতারবাড়ি-মদুনাঘাট সঞ্চালন লাইনে উচ্চতর প্রযুক্তি এবং কন্ডাক্টর (তার) ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন, মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী, খোন্দকার মো. আবদুল হাই, প্রকল্প পরিচালক মোরশেদ আলম খান, কেইসি’র ম্যানেজার আশীষ কেদিয়া ও দীপক যাদবসহ দুই পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।