লোকসান এড়াতে মরিচের বাড়তি আবাদ বগুড়ায়

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০১৯-০২-০৯ ১০:৪৭:৩৯


ধান ও আলু চাষ করে এবার বগুড়ার চাষীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাজারে দাম না পাওয়ায় পণ্য দুটি আবাদের প্রতি আগ্রহ কমেছে তাদের। এ পরিস্থিতিতে লোকসান পুষিয়ে নিতে মরিচের প্রতি ঝুঁকেছেন বগুড়ার চাষীরা। জেলার ১২ উপজেলায় এবার লক্ষ্যের তুলনায় অতিরিক্ত জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে বগুড়ায় আগের লক্ষ্য সংশোধন করে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার টন শুকনা মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এবারের মৌসুমে বগুড়ায় মরিচের ব্যবসা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা।

মান ও স্বাদের কারণে দেশজুড়ে বগুড়ায় উৎপাদিত মরিচের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া জেলায় সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর, সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম ও শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়। এর পাশাপাশি সদর, কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘিতেও মরিচের চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এবার ধান ও আলুর দাম না পাওয়ায় এসব এলাকার কৃষকরা মরিচের আবাদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। চলতি মৌসুমের শুরুতে বগুড়ায় সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে এবার জেলায় মোট ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। বাড়তি আবাদের ফলে এবার বগুড়ায় মরিচের উৎপাদনও লক্ষ্যের তুলনায় বাড়বে। প্রাথমিক অবস্থায় এবারের মৌসুমে বগুড়ায় মোট ১৩ হাজার ৮০০ টন মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ বৃদ্ধির ফলে এ লক্ষ্য বাড়িয়ে ১৫ হাজার টনে উন্নীত করা হয়েছে।

বগুড়ার পাইকারি বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ মানভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২২০-২৬০ টাকায়। এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার চাষী খাইরুল ইসলাম বলেন, আমন ধান মণপ্রতি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলু বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা মণ। এ দামে ধান ও আলুর উৎপাদন ব্যয় তুলে আনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সে তুলনায় বাজারে শুকনা মরিচের দাম বাড়তি রয়েছে। লোকসান এড়াতে চাষীরাও বেশি বেশি মরিচ আবাদ করছেন।