রফতানি খাতে মন্দাভাবের জের ধরে ইউরোপে গমের দাম কমতে শুরু করেছিল। এ ধারাবাহিকতায় কৃষিপণ্যটির দাম দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। তবে ইউরোপে টানা মন্দাভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গমের দাম। সর্বশেষ কার্যদিবসে কৃষিপণ্যটির দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। মিসরের বাজারে রফতানি করার সুবাদে ইউরোপে গমের দাম চাঙ্গা হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
প্যারিসভিত্তিক ইউরোনেক্সট এক্সচেঞ্জে সর্বশেষ কার্যদিবসে গমের দাম টনপ্রতি দশমিক ৭৫ ইউরো বেড়েছে। দিন শেষে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন গমের দাম দাঁড়িয়েছে ২০২ দশমিক ৭৫ ইউরো বা ২২৯ দশমিক ৬৫ মার্কিন ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রতি টন গম ২০১ দশমিক ৭৫ ইউরোয় বিক্রি হয়েছিল। দুই মাসের মধ্যে এটাই ইউরোপের বাজারে গমের সর্বনিম্ন দাম।
ইউরোপের গমের বাজারে মন্দাভাব বজায় রয়েছে। বিদায়ী বছরের ১ জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় গমের ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম ২১৫ দিনে (১ জুলাই-৩১ জানুয়ারি) এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত রফতানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ কমে ৯৪ লাখ টনে নেমে এসেছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ খবরের জের ধরে ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যটির ধারাবাহিক দরপতন দেখা দেয়।
মিসরের বাজারে রফতানির সুবাদে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গমের দাম। মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জিএএসসি ইউরোপের বাজার থেকে নতুন করে তিন লাখ টন গম কিনেছে। মার্চের শেষ সপ্তাহে আমদানি করা এসব গম মিসরের বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ রফতানি চালান ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যটির দাম বাড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। দুই মাসের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে কৃষিপণ্যটির দাম বেড়েছে।