দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় রফতানি চাহিদা বাড়তি থাকার কারণে কয়েক বছর ধরে ভিয়েতনামের চাল রফতানি খাতে চাঙ্গাভাব বজায় রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের বছরের তুলনায় বাড়তে পারে। ২০১৯ সালজুড়ে সব মিলিয়ে ৬৫ লাখ টন চাল রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ভিয়েতনাম সরকার। দেশটির মিনিস্ট্রি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ভিয়েতনামডটনেট ও এগ্রিমানি।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অব ক্রপ প্রডাকশনের উপপ্রধান তান জুয়ান দিনহ জানান, ২০১৮ সালে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৬১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। এ সময় চাল রফতানি করে ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকরা মোট ৩১৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। এক বছরের ব্যবধানে চাল রফতানি বাবদ ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকদের আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় বাড়তি রফতানি চাহিদার কারণে গত বছর ভিয়েতনামের চাল রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল।
প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সাল শেষে ভিয়েতনাম থেকে সব মিলিয়ে ৬৫ লাখ টন চাল রফতানি হতে পারে বলে দেশটির সরকারি প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে আগের বছরের তুলনায় অতিরিক্ত ৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাবদ ভিয়েতনামের রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করতে পারেন বলেও প্রাক্কলন করা হয়েছে। রফতানি বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সে তুলনায় দাম না বাড়ায় চলতি বছর চাল রফতানি বাবদ ভিয়েতনামের রফতানিকারকদের আয় আগের বছরের তুলনায় কমে আসতে পারে।
চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় ভিয়েতনামের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল রফতানি হয়। খাদ্যপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় দেশটি তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশটি থেকে ৭০ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা ভিয়েতনামের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল।