চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদের (কহর দরীয়ার) তীরে শুরু হয়েছে। আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার বাদ ফজর উর্দুতে চূড়ান্ত আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক শুল বয়ান শুরু করেন। আর বাংলাদেশের নোয়াখলীর মাওলানা নূরুর রহমান তা বাংলায় তরজমা করেন। ইজতেমাস্থলের বয়ান মঞ্চ থেকে মূল বয়ান উর্দূতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে ২৪টি ভাষায় তা তরজমা হচ্ছে।
আয়োজক কমিটি সূত্রে আরো জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার মাওলানা জোবায়ের পন্থীদের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাত শেষে জোবায়ের পন্থীরা ময়দান ছেড়ে চলে গেলে রবিবার থেকে মাওলানা সা’দ পন্থীদের পরিচালনায় ফের ইজতেমা শুরু হবে। সোমবার মাওলানা সাদ পন্থীদের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে চার দিনের বিশ্ব ইজতেমা।
এ ছাড়াও আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তর জুমা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন কাকরালাইলের মাওলানা মো. জোবায়ের।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। এর ওপর ইজতেমা ময়দানে একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশে আজ শুক্রবার সকাল থেকে গাজীপুরসহ আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। আশা করা হচ্ছে, জুম্মার নামাজে লাখ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করবেন।
এও জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ আদায় করতে ঢাকা থেকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের ভিআইপি অতিথিরাও ইজতেমা ময়দানে আসবেন।
জামাতের মুরুব্বিদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বর্তমান স্থলে বিশ্ব ইজতেমা স্থানান্তর করা হয়। পরে ইজতেমার জন্য সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়।