২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতীয় রফতানিকারকরা আগের তুলনায় অতিরিক্ত ৩০ হাজার টন কাজুবাদাম রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য পূরণে পণ্যটির নতুন রফতানি বাজার খুঁজছে দেশটি। মূলত অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে কাজুবাদামের রফতানি বাড়ানোর এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্যাশ এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (সিইপিসিআই) সাম্প্রতিক প্রদিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
সিইপিসিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ৬৭ হাজার ৭৪২ টন কাজুবাদাম রফতানি হয়। পরের অর্থবছরে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ হাজার ৮১০ টনে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারতীয় রফতানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টনের মতো কাজুবাদাম রফতানি করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৫-৯০ হাজার টন কাজুবাদাম রফতানির লক্ষ্য হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম রফতানি বাড়তে পারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টন।
এ বিষয়ে সিইপিসিআইয়ের আরকে ভূদোস বলেন, ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদামের রফতানি বাড়ানোর বিকল্প নেই। এজন্য পণ্যটির রফতানি লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে। কাজুবাদামের নতুন রফতানি বাজার খোঁজা হচ্ছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারে কাজুবাদামের ব্যবহার প্রতি বছর ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়াতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় ভারতে কাজুবাদামের দাম কমতির দিকে রয়েছে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ভারতে (কৃষক পর্যায়ে) প্রতি কেজি কাজুবাদামের দাম ছিল ১৫০-১৬০ রুপি। বর্তমানে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ১২৫-১৩০ রুপিতে নেমে এসেছে। দাম না পাওয়ায় ভারতীয় কৃষকরা কাজুবাদাম আবাদে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান সংকট এড়াতে কাজুবাদামের রফতানি বাড়ানোর ওপর ভরসা করছেন পণ্যটির ভারতীয় উৎপাদনকারী ও রফতানিকারকরা।