২০৩০ সালে বাংলাদেশে কালাজ্বরের রোগী থাকবে না:স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০২-১৯ ১৮:৪৫:০০
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যতঃ এখন আর কালাজ্বর নেই। এই পরিস্থিতি টেকসই করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে। সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করে গেলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশে কালাজ্বরের রোগী থাকবে না।
আজ হোটেল সোনাগাঁও-এ দক্ষিণ এশিয়ায় কালাজ্বরের টেকসই নির্মূল সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্ততায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, গত দশ বছরে সরকারের বাস্তবায়িত কর্মসূচি এবং নজরদারির কারণে জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কার্যক্রম সফলভাবে কাজ করেছে। ফলে ২০১৭ সালের আগেই দেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কালাজ্বরের রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার জনে ১ জনের টার্গেট পূরণ করেছে বাংলাদেশ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কালাজ্বরের রোগীর সংখ্যা শুন্যে নামিয়ে আনার টার্গেটও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশ থেকে পোলিও ও ধনুষ্টংকার নির্মূল করেছে। শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি পুরস্কার অর্জন করেছে। কালাজ্বর নির্মূলেও আমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে। সীমাবদ্ধ সম্পদের দেশ হওয়া সত্বেও এই অর্জনগুলোর জন্যে বাংলাদেশ অনেক দেশের কাছে রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিকতায় কালাজ্বর সম্পূর্ণ নির্মূলে অচিরেই আমরা সফল হবো। বর্তমান সফলতা ধরে রেখে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আরো নিবিড়ভাবে কাজ করলে শীঘ্রই এদেশে একজনও কালাজ্বর রোগী থাকবে না।
তিনি বলেন, এদেশে অতি দরিদ্রদের মধ্যে এই ধরনের রোগ দেখা যায়। বিশেষ করে পাশ্ববর্তী দেশের সীমান্ত এলাকায় এই ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ সতকর্তা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি অতি দরিদ্র রোগীদের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নিরলস কাজ করে যেতে হবে।