ব্যাংক থেকে ১৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ও সাবেক ৫ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, কৃষিব্যাংকের বনানী শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জুবায়ের মঞ্জুর, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক এ বি এম আতাউর রহমান, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মনোয়ারা বেগম, বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক এসপিও প্রকৌশল শহিদুল ইসলাম ও সাবেক এসপিও মো. সানাউল্লাহ।
এছাড়া এই মামলার আরেক আসামি ফিরোজ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ওয়াহিদুর রহমান পলাতক।
এদিন, আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, গাজী মো. শাহ আলম। জামিনের বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আসামিদের প্রথমে ৪ সপ্তাহের এবং পরে আরও ১ সপ্তাহের সহ মোট ৫ সপ্তাহের জামিন দেনে হাইকোর্ট। আদেশে জামিনের মেয়াদের মধ্যে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশও ছিল।
এরপর ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর আসামিরা আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু ওইদিন মামলার নথি না থাকায় আদালত আসামিদের জামিনে রেখে ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ঠিক করেন। এপর বুধবার শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজ, ফিয়াজ ট্রেডিং ও অটো ডিফাইনের মালিক ওয়াহিদুর রহমানের সঙ্গে আসামিদের যোগসাজসে ৫টি মর্টগেজ দলিলের বিপরীতে কৃষি ব্যাংক বনানী শাখা ১৩৮ কোটি টাকা ২০১০ সালে ঋণ দেয়। পরবর্তী সময়ে মর্টগেজ দলিলগুলো ভুয়া বলেই প্রমাণিত হয়। এরপর সুদসহ ১৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর আগস্ট মাসে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।