৮০ ভাগ পোশাক কারখানাই নিরাপদ!
আপডেট: ২০১৫-১১-০৯ ২০:১২:৪১
বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর শতকরা ৮০ ভাগই কর্মপরিবেশ, অগ্নিনিরাপত্তা ও ভবনের দিক থেকে ‘নিরাপদ’ বলে এক সরকারি জরিপে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এবং বাংলাদেশ সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর দুই বছরব্যাপী এক জরিপ শেষ করার পর কর্মকর্তারা সোমবার এ কথা জানান বলে খবর দিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সাঈদ আহমেদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ত্রিপক্ষীয় নিরীক্ষায় চার ধরনেরর মানদণ্ড ঠিক করে কারখানাগুলোতে পরিদর্শন চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, পরিদর্শন হওয়া কারখানাগুলোর ভবন ও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ নিরাপদ। এর বাইরে ‘বিপজ্জনক’ বিবেচিত হওয়া ছয়টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার পরিদর্শন শেষ হয়েছে জানিয়ে খবরে বলা হয়, মোট ১ হাজার ৪৭৫টি কারখানায় পরিদর্শন চালানো হয়, তবে এখনো ১২টি কারখানা পরিদর্শন বাকি রয়েছে।
পরিদর্শনের পর ‘নিরাপদ’ বা ‘অল্প সংস্কার প্রয়োজন’ এমন কারখানাগুলো যথাক্রমে সবুজ ও হলুদ রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। আর ‘ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন’ বা ‘বিপজ্জনক’ এমন কারখানাগুলো যথাক্রমে কমলা ও লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রানা প্লাজায় ধ্স ও তারও আগে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে শত শত পোশাকশ্রমিক নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও এবং বিদেশি ক্রেতাদের দুটি জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স ভাগাভাগি করে দেশের সাড়ে তিন হাজার পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন শুরু করে।
ইউরোপের ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠান অ্যাকর্ড ইতিমধ্যেই ১৩৫৬টি কারখানা পরিদর্শন শেষ করেছে। আমেরিকান ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স পরিদর্শন করেছে ৮২৯টি কারখানা। তারা ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে।
সরকার বলছে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর তালিকার বাইরে যেসব পোশাক কারখানা আছে – সেগুলোকেও দ্বিতীয় পর্বে পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নিজেদের ভাগের কারখানাগুলো পরিদর্শনের পাশাপাশি অন্য সংস্থাগুলোর পরিদর্শনের পর তা রিভিউ করেছে।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ