বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ১৮তম নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার ‘ইথিকস ইন ব্যাংকিং’ আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এবারে বক্তব্য রাখবেন জন্মগতভাবে বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ বিশ্বব্যাংক ভারতের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড.জুনায়েদ কামাল আহমাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক আব্দুর রহিম। ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ মেমোরিয়াল লেকচার চালু করেছে বিআইবিএম।
প্রসঙ্গত: বিশ্বব্যাংকের ভারতের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড.জুনায়েদ কামাল আহমেদের আগে নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার প্রদান করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জমান আহমদ, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম¥দ হাবিবুর রহমান, সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড: রেহমান সোবহান, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইদুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গর্ভনর ড. বিমল জালান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সাবেক অধ্যাপক মরহুম মুজাফ্ফর আহম্মদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গর্ভনর ড. ইয়েগা ভেনুগোপাল রেড্ডি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সনৎ কুমার সাহা, ভারতের ইনিষ্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ কলকাতার ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. অমিয় কুমার বাগচী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মহিউদ্দিন আলমগীর, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গর্ভনর ড. ডুভভুরি সুভারাও।
উল্লেখ্য, এ. এফ.এম. নুরুল মতিন ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫১ সালে তদানিন্তন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের গবেষণা বিভাগে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে তাঁর চাকুরী ঐ ব্যাংকের অপারেশন বিভাগে স্থানান্তরিত হয়। তাঁর দীর্ঘ ব্যাংকিং জীবনে তিনি স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানে নির্বাহী পরিচালক, ইক্যুইটি পার্টিসিপেশন ফান্ড এর নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সহ বহু ঊর্দ্বতন পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিআইবিএম এর একজন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তিনি শুধু একজন দক্ষ কর্মকর্তাই ছিলেন না বরং একজন সম্মানিত ও নিষ্ঠাবান চরিত্রের লোক ছিলেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই বাংলাদেশের ব্যাংকিং পরিকাঠামো নির্মাণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২ প্রনয়ণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সত্তর দশক এবং পরবর্তীতে ব্যাংকিং খাতের উন্নতির জন্য নীতি নির্ধারণী বিষয়ে তাঁর অবদান উচ্চ মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তিনি ১৯৭৮ সালে ব্যাংকিং খাতে তার অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। ব্যাংকিং খাতে তাঁর এই অসামান্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।