এশিয়ার বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম ২০১৮ সালের শেষ সময় থেকে ধারাবাহিক ভাবে কমতির দিকেই ছিল। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে এশিয়ার স্পট মার্কেটে জ্বালানি পণ্যটির দাম ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানের কাছাকাছি নেমে এসেছে। মূলত শীতের শেষে দিকে এসে চাহিদা কমতে শুরু করায় এশিয়ার বাজারে এলএনজির দামও কমতির দিকে। খবর রয়টার্স ও নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।
এশিয়ার স্পট মার্কেটে সর্বশেষ সপ্তাহে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (২৭ দশমিক ৯৬ ঘনমিটার) এলএনজির গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৬ ডলারে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ সেন্ট কম। ২০১৭ সালের ৪ আগস্টের পর এটাই এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দাম। ওইদিন প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি ৫ ডলার ৯০ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এশিয়ার স্পট মার্কেটে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি ৬ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল। ১৭ মাসের মধ্যে এটাই জ্বালানি পণ্যটির সর্বনিম্ন দাম।
জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের শীর্ষ তিন এলএনজি আমদানিকারক দেশ। জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যের ৬০ শতাংশের গন্তব্য এ তিন দেশ। এ কারণে এ তিন দেশে এলএনজির চাহিদা ও আমদানির প্রভাব পড়ে জ্বালানি পণ্যটির বাজারে।
এবারের শীত মৌসুমে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতের তীব্রতা খুব একটা দেখা যায়নি। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ উষ্ণ শীতকাল কাটিয়েছে এ তিন দেশের মানুষ। ফলে শীতের সময়ও দেশগুলোয় এলএনজির চাহিদা তুলনামূলক কম ছিল। এলএনজি আমদানিও হয়েছে অনেক কম।
এখন শীত মৌসুম শেষের দিকে। জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা ও আমদানি আগের তুলনায় আরো কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এ ধারাবাহিকতায় মার্চের শুরুতে এসে জ্বালানি পণ্যটির দাম ১৯ মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানের কাছাকাছি নেমে এসেছে।