শাক-সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৮ ১৪:১৩:৪২
বাজারে এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন আসা বরবটি। বাজার মানভেদে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। দামের দিক থেকে এর পরেই রয়েছে পটল ও করলা। বাজারভেদে পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা।
বরবটির মতো বাজারে পটল নতুন আসলেও দীর্ঘদিন ধরে করলা পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই মাস ধরে বেশিরভাগ সবজির দাম ছিল সস্তা, কিন্তু করলার দাম ছিল চড়াই। এখন চড়া দামের বাজারে নতুন করে করলার দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে করলার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
বরবটি, পটল, করলার মতো স্বস্তি মিলছে না ঢেঁড়স, কচুর লতি, লাউ, শসা, শিম, ধুন্দুলের দামেও। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়ার তালিকায় থাকা শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
চড়া দামের এমন বাজারে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, বেগুন, পাকা টমেটো ও গাজর। পেঁপে আগের মতোই ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২০ টাকা কেজির মধ্যে। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। আর গাজর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে গোল আলু। আগের মতোই আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
সবজির দামের বিষয়ে কাওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী রিয়াজ হোসেন বলেন, শীতের সবজি প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এখন যে ফুলকপি, পাতাকপি পাওয়া যাচ্ছে, এর প্রতি ক্রেতাদের খুব একটা আগ্রহ নেই। বাজারে এখন নতুন করে এসেছে পটল, ঢেঁড়স, বরবটি। নতুন আসায় এসব সবজির দাম এখন বাড়তি। তাছাড়া কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণেও সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
খিলগাঁওয়ের সবজি ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, এক সপ্তাহ ধরে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বাড়ছে। ৮০ টাকা কেজির নিচে এখন ভালো মানের কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে চাষীদের অনেক সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে, যে কারণে সবজির দাম হঠাৎ করেই এমন বেড়েছে। তাছাড়া শিম, ফুলকপি, পাতাকপি সরবরাহ দিন দিন কমে আসছে।