চালের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজার হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলো। গত সপ্তাহে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় খাদ্যপণ্যটির দামে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। এ সময় তুলনামূলক বাড়তি চাহিদার জের ধরে ভারত ও ভিয়েতনামে রফতানিযোগ্য চালের দাম মণপ্রতি ৫-১০ ডলার বাড়লেও থাইল্যান্ডে কমতির দিকে ছিল। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় থাইল্যান্ডে চালের দাম কমেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির বাজারে প্রতি মণ রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৩৮৩-৩৮৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এর আগের সপ্তাহেও ভারতে রফতানিযোগ্য চাল মণপ্রতি ৩৭৮-৩৮৩ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে রফতানিযোগ্য চালের দাম মণে সর্বোচ্চ ৫ ডলার বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত চার সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবার দেশটিতে চালের দাম বাড়ল।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ওলাম ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতিন গুপ্তা জানান, ভারত থেকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় চালের রফতানি চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।
চাল রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ভিয়েতনামের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল মণপ্রতি ৩৫৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহেও পণ্যটির দাম ছিল ৩৪৫ ডলার। অর্থাৎ, সপ্তাহান্তে ভিয়েতনামের বাজারে চালের দাম মণপ্রতি ১০ ডলার বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা দেশটিতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে ভারত ও ভিয়েতনামে দাম বাড়লেও বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ডে খাদ্যপণ্যটির দাম কমতির দিকে ছিল। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে প্রতি মণ রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল বিক্রি হয় ৩৮০-৩৯০ ডলারে। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির বাজারে খাদ্যপণ্যটির সর্বোচ্চ দাম ছিল মণপ্রতি ৩৯৮ ডলার। সে হিসাবে এক সপ্তাহে থাইল্যান্ডে চালের দাম মণে ৮ ডলার কমেছে। দেশটির বাজারে বাড়তি সরবরাহ ও থাই বাথের (স্থানীয় মুদ্রা) অবমূল্যায়নের জের ধরে চালের দাম কমতে শুরু করেছে।