আগামী বাজেট থেকেই প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরি দেয়ার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করব। এবং এই কাজটি আগামী বাজেট থেকেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।'
তিনি এ সময় বলেন, 'আমরা বিভিন্নভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি নিয়ে কাজ করছি। প্রত্যেক পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারলে নিরাপত্তা বেষ্টনিতে চাপ কমবে।'
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে নীতিগত বিষয়সূহের উপর মত বিনিময়ের জন্য দেশের থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি পদ্মায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র জানায়, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জাতীয় বাজেট চূড়ান্ত করার পূর্বে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়নের নীতিগত বিষয় সমূহের উপর খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের সাথে মত বিনিময় করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তার এ অভিপ্রায় অনুযায়ী রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সভাটির আয়োজন করা হয়।
এ সভায় দেশের থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস), ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির (বিইএফ), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদরা ছাড়া বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ধারাবাহিকভাবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, এনজিও, মন্ত্রণালয়, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে একই বিষয়ে আলোচনায় বসবেন অর্থমন্ত্রী।
জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বা সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
এবারের বাজেট প্রণয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় করা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগে আকৃষ্ট এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য। সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানে। আগামী বাজেটে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে থাকছে বিশেষ পদক্ষেপ।