রাজশাহীতে বিভিন্ন এলাকায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ায় আমের গুটি ঝরে সামান্য ক্ষতি হলেও সেটি পুষিয়ে যাবে বলেও আশা করছেন আম বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদন বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। পাশাপাশি বাড়ছে অর্থনীতির গতিও। স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছর।
রাজশাহীর ফল গবেষণা কার্যালয় সূত্র মতে, চলতি বছর রাজশাহীতে আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন। গত বছর রাজশাহীতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে। এর আগে কখনো এত পরিমাণ জমিতে আম চাষ হয়নি। ওই পরিমাণ জমি থেকে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই লাখ আট হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে এবার সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিকে আমের মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর রাজশাহীতে আম কেনাবেচা, গাছ থেকে পাড়া, পরিচর্যা, পরিবহনসহ নানা কাজে যুক্ত থেকে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। চলতি বছরেও শুরু হয়েছে আম চাষ নিয়ে নানা কর্মযজ্ঞ। সেই সঙ্গে এবারও আম নিয়ে আশায় বুক বেঁধে আছেন হাজার হাজার চাষি। এরই মধ্যে আমগাছে আসা মুকুল ফুটেছে আবার মুকুল ঝরে ছোট আকারের গুটি আসতে শুরু করেছে। মুকুল আসার আগেই গাছগুলোতে কয়েক দফা পরিচর্যার পর্ব সেরে রেখেছেন চাষিরা। এখনো চলছে গাছের গোড়ায় পানি দেওয়াসহ নানা পরিচর্যা। মুকুল ঝরে কয়েকদিন পরেই গুটিগুলো বড় হতে শুরু করবে। এরপর সেগুলো কুড়িতে (স্থানীয় ভাষায় কোড়ালি) পরিণত হবে। তারপর হবে পরিপক্ব আম। বৈশাখের শুরুর দিকেই সেই আম উঠবে বাজারে। তখন থেকেই চাষিদের পকেটে আম বিক্রির টাকা পকেটে ঢুকতে ।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল আলীম জানান, প্রতি হেক্টরে গড়ে ১৫ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন হারে আম উৎপাদন হবে বলে এবারও আশা করা হচ্ছে। সেই হিসেবে এবার আমের উৎপাদন গতবারের চেয়ে অনেক বাড়বে, যা হবে গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এবার গাছগুলোতে ব্যাপক পরিমাণ মুকুল লক্ষ করা যাচ্ছে