পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া নিউ লাইন ক্লোথিংসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) চাহিদার ২৮ গুণ আবেদন জমা পড়েছে।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সাধারণ বিনিয়োগকারীর আবেদন পড়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৬টি। টাকার অংকে ৫৬৯ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আবেদন পড়েছে ৮৯৯ টি আবেদন। টাকার অংকে ২৬২ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট আবেদন পড়েছে ৮৩২ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বা প্রায় ২৭.৭৫ গুণ।
আগামী ২৪ মার্চ নিউ লাইন ক্লোথিংসের আইপিও আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০ টায় রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এই লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নিউ লাইনের আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করা হয় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত। নিউ লাইন ক্লোথিংসের জন্য পুঁজিবাজারে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হবে। এরমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ৫০ শতাংশ বা ১৫ কোটি টাকা। এই ১৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৮৯৯টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ২৬২ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১৭.৫১ গুণ বা ১৭৫১ শতাংশ আবেদন জমা পড়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে এ অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, কারখানা ভবন সম্প্রসারণ, মেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
নিউ লাইনের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৫ টাকা। আর ২০১৭ সালের ৩০ জুন পুন:মূল্যায়নসহ নীট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১.৬৩ টাকায় এবং পুন:মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০.৫২ টাকায়।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স এবং সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস।
সান বিডি/এসকেএস