১৫ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদন বাড়বে ইন্দোনেশিয়ায়
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৩-২১ ১৪:৪৩:২৯
পাম অয়েল উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটিতে পাম অয়েলের সম্মিলিত উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ১৫ লাখ টন বেড়ে ৪ কোটি ৩০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও কমোডিটি অনলাইন।
ইউএসডিএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৫-১৬ মৌসুমে এল নিনোর প্রভাবে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গিয়েছিল। পরবর্তী দুই মৌসুমে দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হলেও ২০১৯-২০ মৌসুমে তা শ্লথ হয়ে আসতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ মৌসুমের প্রথম ছয় মাসে পাম অয়েলের দাম কমতির দিকে ছিল। এ কারণে উৎপাদনকারীরাও পাম আবাদে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে পাম অয়েলের উৎপাদন ব্যয়ও আগের তুলনায় বাড়তির দিকে রয়েছে। সব মিলিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন খাতে মন্থর অবস্থা বজায় রয়েছে। তবে ২০১৯-২০ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পাম আবাদ হতে পারে। ফলে ওই মৌসুমে দেশটিতে পাম অয়েলের বাড়তি উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৯০ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটি থেকে পাম অয়েলের রফতানি আরো বেড়ে তিন কোটি টনে পৌঁছাতে পারে। এ সময় শুল্কহার আগের তুলনায় বাড়ানোর জের ধরে ভারতের বাজারে কিছুটা কমলেও চীন, পাকিস্তান এবং আফ্রিকার দেশগুলোয় ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানি বাড়তে পারে।
চীনে সয়াবিন তেলের উৎপাদন আগের তুলনায় কমতে শুরু করেছে। এ কারণে দেশটিতে পাম অয়েলের আমদানি বাড়ছে। অন্যদিকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার দেশগুলোয় ক্রমবর্ধমান চাহিদা ২০১৯-২০ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে সম্ভাব্য চাঙ্গাভাবের পেছনে প্রভাব হিসেবে কাজ করবে।