দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ধারাবাহিক ভাবে কমতির দিকে ছিল। বর্তমানে পণ্যটির দামে বিদ্যমান মন্দাভাব আরো জোরদার হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩ টাকা কমে সর্বনিম্ন ৭ টাকায় নেমে এসেছে। সাম্প্রতিক দরপতনের পেছনে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাড়তি পেঁয়াজ আমদানিকে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভারতের নাসিক ও ইন্দোর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হতে দেখা যায়।নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) কেজিপ্রতি ১৩ টাকায় বিক্রি হয়। ইন্দোর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১১-১২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে কম দাম ছিল নতুন মৌসুমের সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের। গতকাল পণ্যটি কেজিপ্রতি ৭-৮ টাকায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগেও হিলির পাইকারি বাজারে এসব পেঁয়াজ মানভেদে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১১ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দরপতনের প্রভাব পড়েছে হিলির খুচরা বাজারেও। স্থানীয় খুচরা বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ১৮-২০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেও এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ১০-১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। বর্তমানে এর পরিমাণ দিনে ৩৫-৪০ ট্রাকে উন্নীত হয়েছে। ভারতের বাজারে নতুন মৌসুমের সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ ওঠায় পণ্যটি তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশীয় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের দামে।
স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, কম দামে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার কারণে বাজারে পণ্যটির দাম কমতির দিকে রয়েছে। চলতি মাসেই হিলির পাইকারি বাজারে দুই দফা পেঁয়াজের দাম কমে কেজিপ্রতি ৭ টাকায় নেমে এসেছে।