চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৭৫৭ টন এলাচ আমদানি হয়েছে। আসন্ন রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা এলাচের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলেছেন। এর পরও রোজা শুরুর দেড় মাস আগেই পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ৫১০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৯০ টাকায় পৌঁছে গেছে
কোনো পণ্যের উৎপাদন কম হলে কিংবা বাজারে সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়তে শুরু করবে, এটাই অর্থনীতির সাধারণ নিয়ম। তবে এলাচের ক্ষেত্রে এ নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা গেছে। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মসলা পণ্যটির সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে দেশীয় আমদানিকারকরা বাড়তি এলাচ আমদানি করেছেন। তার পরও এলাচের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দেড় মাসের ব্যবধানে এলাচের দাম কেজিতে ৫১০ টাকা বেড়েছে। চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও পণ্যটির দাম বাড়ার পেছনে বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে চিহ্নিত করছেন স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
দেশে এলাচের চাহিদা মূলত আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। গুয়াতেমালা থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি এলাচ আমদানি হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৭৫৭ টন এলাচ আমদানি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার পূরণের জন্য এ পরিমাণ যথেষ্ট। আসন্ন রোজা ও ঈদ সামনে রেখে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় আমদানিকারকরা আগেভাগেই এলাচ আমদানি করে রেখেছেন। আমদানি করা এসব এলাচের বড় একটি অংশ খাতুনগঞ্জের আড়তে মজুদ রয়েছে। পর্যাপ্ত মজুদ সত্ত্বেও স্থানীয় পাইকারি বাজারে এলাচের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে প্রতি কেজি এলাচ মানভেদে ১ হাজার ৮৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এর মধ্যে গুয়াতেমালা থেকে আমদানি করা এলএমজি ব্র্যান্ডের এলাচ বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৯০ টাকায়। দেড় মাস আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ১ হাজার ৩৮০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছিল। একই দেশ থেকে আমদানিকৃত জিবিসি ব্র্যান্ডের এলাচেরও দাম বেড়েছে। গতকাল পণ্যটি কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮৭০ টাকায় বিক্রি হয়। দেড় মাস আগে এ ব্র্যান্ডের এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৩৬০ টাকা। সেই হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি এলাচের দাম বেড়েছে ৫১০ টাকা।