ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ‘গুপ্তহত্যার’ জন্য আবারও ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনী তদন্তকারী দলের প্রধান তৌফিক তিরাবি। আরাফাতের মৃত্যুর ১১তম বার্ষিকীর মাত্র একদিন আগে মঙ্গলবার তিনি এ মন্তব্য করলেন।
২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর প্যারিসের সামরিক হাসপাতালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত। পাকস্থলীর প্রদাহে আক্রান্ত হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পশ্চিমতীরের রামাল্লা থেকে তাকে ফ্রান্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা একে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখতে নারাজ। তারা তাদের প্রিয় নেতার মৃত্যুর জন্য শুরু থেকেই ইসরায়েলকে দোষারোপ করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছিল ফরাসি বিচারকরা। তারা ওই তদন্ত বন্ধ করার দু মাস পর মঙ্গলবার ফের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুললেন ফিলিস্তিনি তদন্ত দলের প্রধান তিরাবি।
মঙ্গলবার তিনি বলেছেন,‘তদন্ত কমিটি সাবেক ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের গুপ্তহত্যার কারণ খুঁজে পেয়েছে। এজন্য ইসরায়েলই দায়ী।’ তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। কেবল বলেছেন,‘তার হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে আমাদের আরো কিছু দিন সময় লাগবে।’ ২০০৯ সালে এই তদন্ত দল গঠন করেছে ফিলিস্তিন।
এর আগে ২০১২ সালে আরাফাতের স্ত্রী সুহার করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছিল এক ফরাসি আদালত। আদালত কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই দু মাস আগে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ওই একই বছর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ফরাসি, সুইস ও রুশ তদন্তকারীরা রামাল্লায় আরাফাতের খবর খুলে ৬০টির মত নমুনা সংগ্রহ করেছিল।
অধিকাংশ ফিলিস্তিনির বিশ্বাস তাদের প্রিয় নেতার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। ইসরায়েল তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনি তদন্ত দলের প্রধানও এখন সেই অভিযোগ করলেন। যদিও ইসরায়েল এ অভিযোগ কখনোই স্বীকার করেনি।