বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাজারে প্রচুর বিক্রির পরও দাম বেড়েছে ডলারের। আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার এখন ৮৪ টাকা ২৫ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া ৮৪ টাকা ৩০ পয়সা নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এক মাস আগে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ছিল ৮৪ টাকা ১৫ পয়সা। আর এক বছর আগে ছিল ৮২ টাকা ৯৬ পয়সা। এ হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডলারে দর বেড়েছে ১৫ পয়সা। এক বছরে বেড়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৮২ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করে ২৩১ কোটি ডলার। এসব ডলারের বেশিরভাগই বিক্রি করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে। পদ্মা সেতুর সরঞ্জাম, এলএনজিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া ঋণ পরিশোধ, এলএনজিসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির দেনা পরিশোধসহ নানা কারণে ডলারের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। ডলারের দাম বাড়লে আমদানি ব্যয় বেড়ে মূল্যস্ম্ফীতির ওপর চাপ তৈরি হয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে আমদানি ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছর আমদানিতে ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ না বেড়ে উল্টো কমছে। গত ২০ মার্চ রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। গত ফেব্রুয়ারি শেষেও যা ছিল ৩২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ছিল।