দ্বীপ জেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় এবছর তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি রয়েছেন।তবে উৎপাদন ভালো হওয়ায় ভালো দামেরও আশা করছেন তারা। সাতটি উপজেলায় তরমুজের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার চারশ ৯১ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার তিনগুণেরও বেশি। তবে আবাদ টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন হাজার ১৬০ হেক্টর।
এছাড়া হেক্টর প্রতি তরমুজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ মেট্রিক টন করে এবং মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ২৪ হাজার পাঁচশ ৫০ মেট্রিক টন।
এ বছর এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে তরমুজ ক্ষেতের অবস্থা বেশ ভালো। জমিতে শোভা পাচ্ছে সবুজ দৃষ্টিনন্দন তরমুজ। শেষ পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন হবে হবে আশা করা হচ্ছে।
গ্রীষ্মেকালের একটি প্রধান ফল তরমুজ। এই ফলে শতকরা প্রায় ৯২ ভাগ পানি। যা খেলে সহজেই তৃষ্ণা মেটে। তরমুজের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আছে বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন বি-১ ও বি-টু। এছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজ থেকে ১৬ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি ও ০.২ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। তরমুজ আয়রনেরও ভালো উৎস।
তরমুজের বিভিন্ন জাতের মধ্যে আছে, জাম্বু জাগুয়ার, বিগ ফ্যামিলি, সুইট ড্রাগন, সুগার বেবি ও ব্লাক ডায়মন্ড। এর মধ্যে কালচে রংয়ের জাম্বু জাগুয়ার তরমুজ স্বাদে অতুলনীয়। আকারভেদে প্রতিটি তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।