গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।তিনি বলেন, আশা করছি পদ্মা ব্যাংক পদ্মা নদীর মতোই এগিয়ে যাবে।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড এর প্রথম বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফ সি এ, এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জনাব ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব মো. আসাদুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এবং পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সে সাথে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এহসান খসরু।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টিতে নানা সংস্কারমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন, কিন্তু যারা অসাধু ব্যবসায়ী তারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ভুল জায়গায় ব্যবহার করছেন এবং ব্যাংকে টাকা ফেরত দিচ্ছেন না তাদের কোনো ছাড় নয়। কিন্তু এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সহায়তাকারী ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও খুঁজে বের করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যা করবো সততার সাথে করবো। এমনভাবে পলিসি করবো, যাতে সবাই উপকৃত হয়। ব্যাংকে দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তারা কাজ করবেন।
র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বিপিএম(বার) বলেন, ঋণ ফেরত না দেয়ার নিয়তে যারা টাকা নেন এবং টাকা দিবে না এমন জেনেও যারা ব্যাংক থেকে ঋণ দেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার এখনই সময়। তিনি বলেন, অনেক মানুষ আছে তারা ঋণ নেয় না দেয়ার নিয়ত করে। আর যারা ঋণ দেয় এ কথা জেনে যে এসব ব্যক্তি ঋণশোধ করবে না। তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অর্থমন্ত্রীর কাছে এমন অনুরোধ রাখেন র্যাব মহাপরিচালক।
পদ্মা ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন-২০১৯ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সালাম আজাদ, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান প্রধান, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক। সে সাথে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ আরও নানা দিকে সফল ও গুণীজনেরাও ছিলেন।
সে সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, “ আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সব সমস্যা থেকে বের হতে পেরেছি। খেলাপি ঋণ আদায়ের পাশাপাশি আমরা নতুন আমানত সংগ্রহ করেছি। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সততা, দক্ষতা আর নিষ্ঠায় যেন কোনো খাদ না থাকে।”
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এহসান খসরু বলেন, “ আমরা ইতোমধ্যে ব্যাংকের কর্মকান্ডে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি। নতুন ও আকর্ষণীয় প্রডাক্ট লঞ্চ করাসহ ব্যাংকের নানা বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা আছে। সেগুলো বাস্তবায়নই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। ”
উল্লেখ্যঃ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পায় পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির মূল মালিকানায় চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। দেশব্যাপী ৫৭টি শাখা ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে কাজ শুরু করেছে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড।