সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবছর রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্ত হাট-বাজারে এসব রসুনের দাম কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
তাড়াশ কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে জানা, তাড়াশ উপজেলায়ে এবছর ৫৭৮ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হামকুড়িয়া, চরহামকুরিয়া, নাদোসৈয়দপুর, বিন্নাবাড়ী, ধামাইচ, চরকুশাবাড়ী, সবুজপাড়া, মাগুড়াবিনোদ, কাছিকাটা পূর্ব অঞ্চলে চাষাবাদ বেশি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তাড়াশ অঞ্চলে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁদা মাটিতে বিনা চাষে রসুনের চাষ করা হয়েছে। সাড়ে তিন মাসের মধ্যে রসুন তুলতে শুরু করেন কৃষকরা। এ বছর প্রতি বিঘাতে ৩৫-৪০ মণ রসুন উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুণতে শুরু করেছে কৃষকরা।
বিন্নাবাড়ী গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন ও রাজ্জাকসহ কয়েকজন জানান, বিনা চাষে রসুন চাষ হলেও সার, কিটনাশক, নিড়ানিসহ বিঘা প্রতি অনেক টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর ফলন কম হলেও প্রতিমণ রসুন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি করেছি। কিন্ত এ বছর বেশি ফলন পেয়েও প্রতিমণ রসুন এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে খরচ উঠছে না।
এই এলাকার রসুন ব্যবসায়ীরা বলেন, তাড়াশে এবার রসুনের ফলন ভালো হলেও এখন হাট-বাজারে দাম কম। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তাড়াশেএ বছর ভাল জাতের রসুন চাষ করায় ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে এখন রসুনের দাম কম থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম বাড়তে পারে।