আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দার মুখে পড়েছে কফির দাম। এ ধারাবাহিকতায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) সর্বশেষ কার্যদিবসে অ্যারাবিকা কফির দাম কমে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। অন্যদিকে রোবাস্তা কফির দামও ২০১৬ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। মূলত বাড়তি সরবরাহের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা কফির দাম কমতে শুরু করেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
অ্যারাবিকা কফির দাম আইসিইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকা কফি বিক্রি হয়েছে ৯১ দশমিক ৬৫ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪৫ সেন্ট কম। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরের পর আইসিইতে এটাই অ্যারাবিকা কফির সর্বনিম্ন দাম।
একই ধরনের মন্দাভাব দেখা গেছে রোবাস্তা কফির দামেও। সর্বশেষ কার্যদিবসে পানীয় পণ্যটির দাম আগের দিনের তুলনায় টনপ্রতি ৫ ডলার কমেছে। দিন শেষে মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন রোবাস্তা কফি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৯৫ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কম। ২০১৬ সালের মার্চের পর এটা আইসিইতে রোবাস্তা কফির সর্বনিম্ন দাম।
ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কফি সরবরাহ বাড়তে শুরু করে মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে । ফলে কমতে থাকে পানীয় পণ্যটির দাম। আগামীতে দেশটি থেকে নতুন মৌসুমের কফি সরবরাহ আরো বাড়তে পারে। ফলে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা দুই ধরনের কফির দাম আরো কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।