স্বাস্থ্য বীমার আওতায় সাড়ে ১৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৪-০৪ ১৪:১৮:১০


দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে স্বাস্থ্য বীমার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সাড়ে ১৩ লাখ সরকারি  কর্মচারীর জন্য ‘গোষ্ঠী মেয়াদি বীমা’ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ বীমার মেয়াদ হবে ১৫ বছর।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পালের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বীমার প্রিমিয়াম নেয়া হবে চিকিৎসা ভাতা থেকে। এ কারণে মূল বেতনে কোনো চাপ পড়বে না। হাসপাতালের যাবতীয় খরচ এর আওতাভুক্ত থাকবে। এ ছাড়া গর্ভবতীদের জন্য থাকবে বিশেষ সুবিধা।

সরকারি চাকরিজীবীদের পরিবারের সদস্যরাও পৃথক প্রিমিয়াম জমার মাধ্যমে এ সুবিধা নিতে পারবে।

বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, ১৩ লাখ ৬২ হাজার সরকারি চাকরিজীবীর এই স্বাস্থ্য বীমার পুরো বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে।

স্বাস্থ্য বীমার আওতায় সরকারি চাকরিজীবীরা মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রেডের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধাপের ওপর ভিত্তি করে টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

তবে হাসপাতালের বেড ভাড়া, কনসালট্যান্সি ফি, অপারেশন থেকে শুরু করে ওষুধ কেনা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ অন্যান্য খরচের ক্ষেত্রে গ্রেডের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না।

তবে এ বীমার জন্য সরকার কোনো ভর্তুকি দেবে না। চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য প্রিমিয়াম থেকে টাকা কাটা হবে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা চিকিৎসা খরচ বাবদ এক হাজার ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। এই বীমার আওতায় পুরো টাকার অর্ধেক যাবে ফিক্সড ডিপোজিটের একটি তহবিলে।

বাকি অর্ধেক টাকা যাবে প্রিমিয়াম খরচ হিসেবে। প্রিমিয়ামের টাকা থেকে হাসপাতালের ব্যয় বহন করা হবে। আর তহবিলের টাকা পাওয়া যাবে বীমার মেয়াদ শেষে।