হিলিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪ টাকা
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৪-০৬ ১১:০৯:৪৪
পবিত্র রমজান মাস শুরুর প্রায় এক মাস আগে উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজের বাজার। এর মাঝেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি এক দফায় কমে ৭ টাকা নেমেছিল। তবে গত সপ্তাহ নাগাদ পণ্যটির দাম ফের কেজিপ্রতি ১৪-১৫ টাকায় উঠে যায়। সপ্তাহ ঘুরতেই আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি আরেক দফা কমে ১০-১১ টাকায় নেমে এসেছে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে আমদানি করা পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন পাইকারি বাজার ঘুরে ভারতের ইন্দোর ও নাসিক থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হতে দেখা যায়। বাজারে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের চাহিদাও রয়েছে ভালোই। ইন্দোর ও নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০-১১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এসব পেঁয়াজ ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের কেজি ৬-৭ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাইকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজের দরপতনের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। গতকাল হিলির খুচরা বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম মানভেদে ১০-১৫ টাকায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০-২২ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কমেছে।
হিলির পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, সপ্তাহখানেক আগে টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল। ক্রেতারা আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি কিনেছেন। বাড়তি চাহিদার কারণে আমদানিকারকরাও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে চাঙ্গা হতে শুরু করেছিল পেঁয়াজের দাম। তবে পণ্যটির বাজার পরিস্থিতি বদলেছে। এখন বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসায় আমদানি কমেছে। বর্তমানে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন সাকল্যে ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এসব কারণে হিলির পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।